শিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত : ১৬:১২, ২৪ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৬:১৩, ২৪ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজারে মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে স্কুল শিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজার র্যাব-১৫’র সহকারী পরিচালক এএসপি নিত্যানন্দ দাশ।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন মামলার প্রধান আসামি বেদার মিয়া (ইজিবাইক চালক), বেলাল উদ্দিন (রাজমিস্ত্রি), মোস্তাক মিয়া (ভিডিওম্যান)। আরও এক আসামি পলাতক রয়েছে।
এএসপি নিত্যানন্দ দাশ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ওইদিন মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজার চান্দের পাড়ায় স্কুলশিক্ষিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং তা আগের রাতেই করা হয়।
গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে ওই শিক্ষিকা তার এক ভাগনির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়া নামের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে টমটমে করে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।
এসময় ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক আরেকটি টমটমে তুলে নেয়। পরে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলায় আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
উক্ত ঘটনায় সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মামলা নেয় পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকা থেকে ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠানে যান স্কুল শিক্ষিকা। সেখানে পরিচয় হয় হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮) নামের একজনের সাথে। এসময় কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা। পরে কথা হয় আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের সাথে।
পরদিন সকালে ওই স্কুল শিক্ষিকা ইজিবাইক (টমটম) যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে ওই নারীকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়। তারপর দেশীয় অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে।
তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।
এএইচ
আরও পড়ুন