বারবার ‘ঘুষ দিয়েও নিস্তার নেই’ আব্দু শুক্কুরের!
প্রকাশিত : ১৮:০১, ২৫ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজারে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় দফায় দফায় পুলিশকে ঘুষ দিয়েও নিস্তার মিলছে না অসহায় আব্দু শুক্কুরের। প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন কাটছে তার। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আব্দু শুক্কুর।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল করিম, আবদুল আজিজ, রেজিয়া আকতার, আবদুর রহিম, মোহনা আকতার ও রেজাউল করিমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দু শুক্কর অভিযোগ করেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার ১৪ শতক জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক হন আব্দু শুক্কুর। বর্তমানে ওই জমিটিই তার বসতবাড়ি। এলাকায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার মৃত মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে সৈয়দ উল্লাহর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এ কারণে উক্ত জমিটি ক্রয়সূত্রে মালিক দাবি করে আব্দু শুক্কুর ও তার পরিবারের সদস্যেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
উক্ত মামলাকে পুঁজি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই ইকবাল আব্দু শুক্কুরকে ধরে নিয়ে যায়। পরে শহরের কলাতলী মোড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিকাশ এবং নগদে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। একইভাবে দফায় দফায় ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন এসআই ইকবাল।
এরপরও ঘুষ দাবি করায় এসআই ইকবালের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন আব্দু শুক্কুর। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি এখনও আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন।
আব্দু শুক্কুর অভিযোগ করে আরও বলেন, আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এসআই ইকবালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে তাকে ও তার পরিবারকে। বর্তমানে আব্দু শুক্কুর ও তার পুরো পরিবার গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত পুলিশের এসআই ইকবালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উক্ত মামলায় আল আমিন নামের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলাটির বাদি সৈয়দ উল্লাহ ৯৯৯-এ ফোন দিলে তিনি কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মামলার বাদি সৈয়দ উল্লাহ জানান, 'ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক আমি। কিন্তু, আব্দু শুক্কুর জমির ওপর দালান নির্মাণ করায় মামলা দায়ের করি। আমি পুলিশকে ম্যানেজ করিনি।'
এনএস//
আরও পড়ুন