পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭ 

যশোরের বেনাপোলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এসময় প্রভাব বিস্তারে ককটেল বিষ্ফোরণ ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা। আহতরা শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যশোর সদর ও খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার কাগমারি ও আমড়াখালী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বেনাপোলের কাগমারি গ্রামের আজিজের ছেলে শাহআলম (৫৫) ও আলম (৫৭), দেলোয়ারের ছেলে শুভ (৩৫), বারেকের ছেলে খোরশেদ (৩৯), নুরুর ছেলে শুকুর আলী (৪০), সিরাজুলের স্ত্রী মুন্নি (৩২) ও আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক (৩২)। আহতদের মধ্যে আলম ও শুকুর আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এলাকাবাসী জানান, গ্রামে শালিস বিচার নিয়ে কয়েক মাস ধরে দু‘পক্ষের রেষারেষি চলে আসছিল। দু’পক্ষের মধ্যে ইতোমধ্যে ২টি মামলা এবং একাধিক অভিযোগ বেনাপোল পোর্ট থানায় দায়ের করা হয়েছে। একাধিকবার বিচার শালিশ করার পরও কোনো স্থায়ী সমাধানে আসেনি দু‘পক্ষ। হঠাৎ করে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে আমড়াখালি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী বাবু, শরবত আলীর ছেলে আমির, আলীর ছেলে শিমুল, বজলুর ছেলে আরমান, ওলিয়ারের ছেলে সাদেক, শরিফের ছেলে সুজন ও হাশেম আলীর ছেলে রওশন আলী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠি, দা ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আলম গ্রুপের লোকদের উপর আক্রমণ করে। এতে আলম গ্রপের ৭ জন আহত হয়। স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘটনাস্থলে নিয়োজিত বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই সোহেল বলেন, মসজিদের নামাজ পড়ার জের ধরে আমড়খালী গ্রামের বাবু আকস্মিকভাবে তার দলবল নিয়ে হামলা করে শাহ-আলম গ্রুপের লোকজনের ওপর। তাদের বাঁচাতে এসে গ্রামের কেউ কেউ আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
কেআই