ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অজানা রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের চারজন (ভিডিও)

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৫৯, ৩১ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৬:০১, ৩১ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের চারজনই প্রতিবন্ধি। পিতৃহীন অভাব-অনটনের সংসারে আয়ের একমাত্র উৎস বাবার রেখে যাওয়া মনিহারি দোকান চালান মেজো ছেলে প্রতিবন্ধি জামসেদ। দোকানের সামান্য আয়ে চলে সাতজনের সংসার।

প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ২৩ বছরের জামসেদ। তবে প্রতিবন্ধি তিন ভাই-বোনসহ সংসারের হাল ধরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখা হয়নি তার।

আট বছর বয়সে হাত-পায়ে ব্যথাসহ জ্বরের সাথে হাত-পা এবং আঙ্গুল বাকা হয়ে যায় জামসেদের। বড়ভাই রাশেদ, ছোটভাই আমজাদ আর ছোটবোন শারমিনও একই রোগে প্রতিবন্ধিতার শিকার। 

জামসেদ বলেন, “প্রায় ৮ বছর পর্যন্ত আমরা সুস্থ্য-স্বাভাবিক ছিলাম। এরপর থেকে আমাদের এই রোগটা শুরু হয়।”

নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসাও নিতে পারছেন না তারা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও পাচ্ছেন না তেমন সহায়তা।  

প্রতিবন্ধীদের মা জানান, “রোগটা কি তা জানি না। কারও কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাই না, খুব কষ্টে আছি।”

প্রতিবেশীরা জানান, “দাদী-নানী-মা সবাই বিধবা। কোন রকমে চলছে তারা।”

তবে সহায়তার কথা জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সিভিল সার্জন।

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, “এদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করবো এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।”

চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজীব বলেন, “দুইজনকে প্রতিবন্ধীর কার্ড করে দিয়েছি। বাকি যে তিনজন আছে সেটা আমাদের জানা ছিল না।”

প্রশাসনের পাশাপাশি জামসেদদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসবেন বিত্তবানরাও- প্রত্যাশা সকলের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি