ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চোর-ডাকাত আতঙ্কে ঘুম হারাম দুই ইউপির বাসিন্দাদের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১২, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

আতঙ্কিত এলাকায় পরিদর্শনে যেয়ে স্থানীয়দের কথা বলছেন নবাগত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান

আতঙ্কিত এলাকায় পরিদর্শনে যেয়ে স্থানীয়দের কথা বলছেন নবাগত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হঠাৎ বেড়েছে চোর ও ডাকাতের উপদ্রব। আজ এ বাড়িতে কাল ওই বাড়িতে। এমন চোর-ডাকাত আতঙ্কে ঘুম হারাম হয়ে গেছে উপজেলার কেরোয়া ও চরপাতা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামবাসীর। পালাক্রমে পাহারায় রাত কাটাচ্ছেন তারা।

এই চুরি, ডাকাতি ও মাদক প্রতিরোধে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রায়পুর থানায় সকল শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে এবং বিকাল থেকে-রাত ৮টা পর্যন্ত কেরোয়া ইউনিয়নবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন নবাগত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ। 

এছাড়া পুলিশ সুপার (এসপি) ডাকাত আতঙ্কিত এলাকায় ছুটে যান এবং চুরি ও ডাকাতি হওয়া বাড়িগুলো পরিদর্শন করে গৃহকর্তাদের সাহস ও সান্ত্বনা দিয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার, ওসি, কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।

গত সোমবার রাতে কেরোয়া ইউপির সাত বাড়িতে একই সময়ে চুরি হয়। একই সময়ে লামছরি গ্রামে প্রবাসির ঘরে ডাকাতি হয়। এসময় ছুরি দিয়ে দুইজনকে আঘাত করে ডাকাতরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস যাবৎ চরপাতা ইউপির কয়েকটি গ্রামে চুরি এবং ডাকাতি হয়। ধারাবাহিকভাবে চুরি ও ডাকাতি করে মালামাল লুটে নিচ্ছে তারা। কখনো কখনো গৃহকর্তাদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত করছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। 

ডাকাতের কবল থেকে রক্ষা পেতে ইতোমধ্যে এলাকাবাসী মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে গ্রামবাসিদের সতর্ক করছেন। 

চরপাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান মামুন রশিদ বলেন, ২-৩ দিন পর পর চোর ও ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মানুষের টাকা-পয়সা স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যাচ্ছে। থানায় অভিযোগ করলেও কোন লাভ হয়না। 

কেরোয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম সামু জানান, রায়পুর উপজেলার ১০টির মধ্যে গুরুত্বপুর্ণ ইউনিয়ন হলো কেরোয়া ইউপি। এই ইউনিয়নে গত এক মাসে অন্তত ৭ সিঁধেল চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি রোধে দুই-তিনদিন গ্রামের মানুষ মসজিদে মাইকিং করে পাহাড়া দিচ্ছে। 

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, “গত বুধবার এ জেলায় যোগদান করেই শুনছি রায়পুরে আইনশৃংখলা অবনতি। দ্রুত এর উন্নতি ঘটাতে হবে। শুধু এটাই বলবো, যারাই সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিবে আমরাও তাদের শান্তিতে থাকতে দিবো না।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি