শিক্ষা ক্ষেত্রে সিলেট পিছিয়ে পড়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২০:৪৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ২০:৪৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, 'সিলেট একটি ঐতিহ্যময় শহর। এটি একটি জ্ঞানীগুণী ব্যক্তির শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সাম্প্রতিককালে শিক্ষা ক্ষেত্রে সিলেট পিছিয়ে পড়েছে। একসময় সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত লোক সিলেটেই ছিল। সিলেটে শিক্ষিত লোক হওয়ার ফলে ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে যখন আসাম কমিশন তৈরি হয়, তখন এখান থেকেই বেশি লোক আসাম কমিশনে কাজ করেছিলেন। 'এ সময় সিলেটের স্থানীয় নেতারা ও অভিভাবকদেরকে শিক্ষার প্রতি জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (২ সেপ্টম্বর) সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে আসেন মন্ত্রী এবং পৌনে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সকাল ১১টায় সৈয়দ মুজতবা আলী হলের সামনে লাল ফিতা কেটে বর্ধিতাংশের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের চাকরির বাজারে ছাত্রলীগকর্মীরা চাকরি না পাওয়ায় দুঃখজনক। 'আমার খুব দুঃখ লাগে আমার দলের ছেলে-মেয়েরা, ছাত্রলীগের, যুবলীগের নেতারা চাকরি করতে পারে না, ব্যবসা করতে পারে না। সামান্য ব্যবসা করতে গেলে তাদের দুর্নাম হয়। চাকরিও তারা সহজে পায় না। তারা পলিটিকস অর্জন করেছে। এই নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে, আমি সবাইকে বলব একটা উপায় বের করার জন্য। '
তিনি বলেন, 'ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশের একটা বড় সম্পদ। তাদের যোগাযোগ, দক্ষতা ও প্রচেষ্টা অনেক বেশি। চাকরিতে তাদের কিভাবে সংযুক্ত করা যায় সে পন্থা আমাদের বের করতে হবে। '
উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা সৈয়দ রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরেফিন খান। এ সময় আরো বক্তব্য দেন, শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল প্রমুখ।
কেআই//
আরও পড়ুন