ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত তিমি ও ডলফিন

কুয়াকাটা ও কলাপাড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৩০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একই সময় ভেসে এসেছে মৃত বেলীন তিমি ও ইরাবতী ডলফিন। তিমিটির দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট এবং ডলফিনটির দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

শনিবার সকাল ৯টায় জোয়ারের পানিতে সৈকতের ঝাউ বাগান পয়েন্টে একশ’ মিটারের মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণী দুটি ভেসে আসে। দুটোকেই অর্ধগলিত অবস্থায় দেখা যায়। এসময় সৈকত এলাকায় পঁচা দুর্ঘন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিমিটি দেখতে অনেকটা দৈত্যাকৃতির। এর কঙ্কাল সংরক্ষণের দাবি থাকলেও এ ব্যাপারে বনবিভাগের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেই। এর আগে ২০১৮ সালের ২০ মে কুয়াকাটা সৈকতের একই এলাকায় ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যয়ের মৃত একটি বেলীন তিমি ভেসে এসেছিল। এসময় সেটিরও কংকাল সংরক্ষণের দাবি উঠলেও তা আর সংরক্ষণ করা হয়নি। 

সর্বশেষ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা তিমিটি সম্পর্কে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডলাইফ কনজার্ভেশন সোসাইটির ফিল্ড সমন্বয়কারী জিএম মাসুম বিল্লাহ জানান, এটি একটি ব্রাইডস তিমি এবং এর দাঁত নেই। মুখের ভেতর ছাঁকনির মতো একটা অংশ থাকে, যাকে বেলীন বলা হয়। এর মাধ্যমে খাবার খেয়ে থাকে। এ ধরণের তিমি ছোট মাছ ও চিংড়ি জাতীয় প্রাণী খেয়ে বাঁচে। 

ব্রাইডস তিমি ৪০ থেকে ৫০ ফুট দৈর্ঘে্যর হয়ে থাকে, ওজন হতে পারে ২৫ টন পর্যন্ত। 

তিনি আরও জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং ক্যালিফোর্নিয়া এলাকার সাগরে এই ব্রাইডস তিমি সাধারণত দেখা যায়। এছাড়া বাংলাদেশের জলসীমাতেও কখনও কখনও এই তিমি দেখা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। 

শনিবার ভেসে আসা তিমির পরপরই সৈকতের একই এলাকায় একশ’ মিটারের মধ্যে একটি ইরাবতী ডলফিন দেখতে পায় স্থানীয়রা। তবে এটিও অর্ধগলিত ছিল। 

সৈকতে ভেসে আসা মৃত তিমি ও ডলফিনের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন।  

মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, ঘটনাস্থলে বনকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। তিমি ও ডলফিন দুটো বালুচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি