প্রধান শিক্ষকের মার খেয়ে ছাত্র হাসপাতালে
প্রকাশিত : ০৯:৫০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাফায়েত মাহমুদ প্রাণ (১৪) নামে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরের দিকে ওই ছাত্রকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার রুমে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাফায়েত মাহমুদ (প্রাণ)কে তার রুমে ডেকে নিয়ে বেধড়কভাবে মারপিট করেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। আহত প্রাণকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার পিতা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন।
ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুল ছাত্রের পিতা আনছার আলী।
আনছার আলী জানান, রোববার সকালে আমার ছেলে বাড়ি থেকে স্কুলে যায়। পরে আমি দুপুরে জানতে পারি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার রুমে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়কভাবে মারপিট করেছে। তাৎক্ষনিকভাবে ছেলেকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করি। এই নির্যাতনের বিচার চাই।
এর আগেও অনেক ছাত্রকে এভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষকের নামে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। প্রতিষ্ঠানের কিছু দুষ্কৃতিকারী আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ছেলের পিতা। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনের কারণে অন্য ছাত্রছাত্রীরাও স্কুলবিমুখ হয়ে পড়েছে বলে অনেক অভিভাবকরা জানিয়েছেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জেলও খেটেছেন। স্কুল পরিচালনা কমিটি এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছেন তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন