জাল নোটে দেনা পরিশোধ, বিউটি জেলহাজতে
প্রকাশিত : ০৮:৪৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঝালকাঠির রাজাপুরে জাল নোট দিয়ে দেনা পরিশোধের অভিযোগে বিউটি মিস্ত্রি নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) পাওনাদার সূবর্ণা হালদার বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করার পর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার সূবর্ণা হালদারের পাওনা টাকা পরিশোধের নামে জাল নোটের লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ পায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নৈকাঠি এলাকার পূর্বপরিচিত ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণার কাছ থেকে একই এলাকার সরকারি আবাসনের জয়ন্ত মিস্ত্রীর স্ত্রী বিউটি পাঁচ মাস পূর্বে ১৭ হাজার টাকা ধার নেন। ১৫ দিন পূর্বে বিউটি তার দেনার টাকা শোধ করতে এসে সবগুলো ৫শ’ টাকার নতুন নোট প্রদান করেন। সরল বিশ্বাসে সে টাকা রেখে দিলে পুনরায় বিউটি নতুন ৫শ’ টাকার নোটের ৫ হাজার টাকা দিয়ে সুবর্ণার কাছ থেকে পুরাতন নোটের ৫ হাজার টাকা পাল্টে নেয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার ওই টাকা থেকে সুবর্ণা পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে মালামাল কিনতে গেলে দোকানদার নোটটি জাল সন্দেহ করে সুবর্ণাকে ফিরিয়ে দেয়। তখন সে ছুটে বাড়িতে এসে বিউটির দেওয়া বাকী ২১ হাজার পাঁচশ’ টাকা বেড় করে সবগুলো টাকার নোটই জাল বলে নিশ্চিত হয়।
মঙ্গলবার সুবর্ণা জাল নোটগুলো নিয়ে বিউটির কাছে গিয়ে নোটগুলো সে কোথায় পেয়েছে জানতে চায়। এতে বিউটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও সে এই নোটগুলো দেয়ার কথা অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে সে রাজাপুর থানায় এসে সুবর্ণার নামে
জাল টাকা দিয়ে তাকে ফাঁসানোর উল্টো অভিযোগ দেয়।
সুবর্ণা রাজাপুর থানায় বিউটির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলে উভয় অভিযোগ প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশ। এসময় স্থানীয়রা জানায়, বিউটি মিস্ত্রী এর আগেও ইসলামি ব্যাংকে ঋণ পরিশোধ করতে জাল টাকার প্রদান করে ধরা পড়েছিল।
বিউটি জানায়, ওই টাকাগুলো সে পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে ঋণ হিসাবে এনেছে। এ বিষয়ে পুলিশ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপক মো. জুয়েল তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, “আমরা ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ অর্থ দেই, কোন নগদ টাকা দেইনা।”
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ মোস্তফা জানান, দুজনকেই থানা হেফাজতে রেখে প্রাথমিক তদন্তের পর সূবর্ণা হালদারকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর সে বাদী হয়ে বিউটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে তাকে উক্ত মামলায় আদালতে চালান দেয়া হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন