বাগাতিপাড়ায় বৃদ্ধার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
স্বজনদের আহাজারি
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রহিমা বেগম নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাগাতিপাড়া পৌরসভার লক্ষণহাটি মহল্লার সড়কের একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মৃতদেহটি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসা এবং গাছের ডালে রসিতে বাঁধা ছিল।
নিহত রহিমা বেগম ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক জানান, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে নিহতের বড় ছেলে মজিবর রহমান মায়ের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। সে ঘরের ভেতর ঢুকে মাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করলে ছোটভাই শরিফুলও বেরিয়ে আসেন।
খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে ছোট একটি গাছের সাথে হাঁটু গেড়ে বসা এবং দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় মায়ের মৃতদেহ দেখতে পান তারা। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পরামর্শে বিষয়টি পুলিশকে জানায় তারা।
খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের বড় ছেলে মজিবর জানান, তার মা তার কাছেই থাকতেন। প্রতিদিন সকালে মায়ের ঘর তিনি পরিষ্কার করেন। বৃহস্পতিবার ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে উঁকি দিয়ে মাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। বাড়ির পাশে একটি গাছে তাকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাদের সন্দেহ তার মাকে খুন করা হয়েছে।
ছোটভাই শরিফুল বলেন, তারা ৫ ভাইবোন। এক বোন মারা যাওয়ার পর ২ ভাই ২ বোন রয়েছেন। সবার আলাদা সংসার হলেও একই বাড়িতে থাকেন। মা কখনও আমার কাছে কখনও বড় ভাইয়ের কাছে থাকেন। বড় ভাইয়ের বউ ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকেন। ভাবী ও তার ছেলে মাঝে মধ্যে এসে মায়ের কাছে টাকার দাবি করতেন। না দিলে গালমন্দ করে চলে যেতেন। বুধবার বিকালেও তারা এসে মাকে গাল মন্দ করে চলে যান।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন