প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাগেরহাটের কচুয়ায় আয়না বেগম (১৭) নামের এক তরুণীকে হত্যার দায়ে আমজাদ খান নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তপন রায় আসামির উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ দেন।
এসময় আসামিকে আরও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আমজাদ খান কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন ওরফে ধলু খানের ছেলে। আর নিহত আয়না বেগম কচুয়া উপজেলার গাবরখালী এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের বাবলু নামের এক ব্যক্তির সুপারি বাগান থেকে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিন কচুয়া থানায় এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন কচুয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিয়ারব হোসেন।
অজ্ঞাতনামা ওই তরুণীর পরিচয় ও হত্যাকারীকে শনাক্তে কাজ শুরু করে পুলিশ। ওই বছরের শেষের দিকে পুলিশ আমজাদ খানকে আটক করে। ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে আমজাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ খান জানায়, অজ্ঞাতনামা ওই তরুণীর নাম আয়না বেগম। মুঠোফোনে আয়নার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে বিয়ে করার শর্তে আমজাদ খান ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী আমজাদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বউ-বাচ্চা থাকায় আমজাদ আয়নাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে নিজের ক্ষতি হবে ভেবে আমজাদ ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগহণ ও পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আমজাদকে মৃত্যু দণ্ডাদেশ দেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি সীতা রানী দেবনাথ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিধান চন্দ্র রায়।
এনএস//
আরও পড়ুন