ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৬:৫০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী সদস্য প্রার্থী। এ নিয়ে তিনি থানায় মামলা করেছেন। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামি হলেন, বাগমারার মাহাবুর রহমান (২৮), আকবর হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (২৪), দুলাল হোসেন (২৫) ও ফজলুর রহমান (৪৮)। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি বাগমারা উপজেলার চকমহমতপুর গ্রামে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি গণীপুর ইউনিয়ন থেকে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর এক স্বজন জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে (বাগমারা, মোহনপুর, দুর্গাপুর) মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রাজশাহী থেকে যাওয়ার সময় মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার কয়েকজন ভোটারের বাড়িতে যান। এতে তার হয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার পথে মাহমিনগ্রাম মোড়ে ধর্ষণের শিকার হন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অনেকটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। তবে প্রচারণা চালাতে গিয়ে যেহেতু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাই এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠেই আছেন। ভোটারদের কাছ থেকে তিনি সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে এক নারী সদস্য প্রার্থী বাগমারা উপজেলায় যান। প্রচারণা শেষ হতে রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ ব্যক্তি তাঁর গতি রোধ করেন। এসময় তাঁরা তাঁকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। 

ওসি বলেন, চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। পরদিন শুক্রবার রাতে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, এজাহারে ঠিকানা ও বাবার নাম ভুল থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

সহকারি রিটানিং অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, রাজশাহী জেলা পরিষদের বাগমারা, মোহনপুর ও দুর্গাপুর উপজেলা নিয়ে সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে সাতজন নারী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

তিনি বলেন, একজন নারী প্রার্থী প্রচারে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তিনি আইনী সহযোগিতা পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি