ওয়ানটাইম চায়ের কাপ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু রোগী, নড়াইলে শনাক্ত ৫৮
প্রকাশিত : ১২:৩৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি
করোনা মহামারির পর থেকে বেশির ভাগ চায়ের দোকানে ওয়ানটাইম কাপ ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব চাপ ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে ওই কাপগুলোতে বৃষ্টির পানি জমছে, এতে ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। রূপগঞ্জসহ নড়াইল শহর এলাকার দোকানগুলোতে ওয়ানটাইম কাপ ব্যবহারের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শহরের রূপগঞ্জ এলাকার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ প্লাস্টিক ও কাগজের ওয়ানটাইম চায়ের কাপ বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারের পান ব্যবসায়ী হিরক মালাকারের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে খুলনাস্থল গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এছাড়া বাঁশভিটা গ্রামেরই ছয়জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন এলাকার মানুষ।
হিরক মালাকারের চাচাতো ভাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার পলাশ মালাকার জানান, তাদের গ্রামে যে ছয়জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হিরক মালাকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে ডেঙ্গু উপসর্গে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ডেঙ্গু শনাক্ত হলে ওইদিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়া হয়। এছাড়া বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চারজন এবং লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’জন ডেঙ্গু রোগি ভর্তি আছেন।
এ মওসুমে গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন।
এ পরিস্থিতিতে ওয়ানটাইম চায়ের ব্যবহৃত কাপসহ যেখানে-সেখানে জমে থাকা পানিতে নড়াইলে ডেঙ্গুর শঙ্কা বাড়ছে বলে মনে করছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এছাড়া দীর্ঘদিন নড়াইল পৌরসভায় মশকনিধন কার্যক্রম চোখে পড়েনি শহরবাসীর।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, মশার লার্ভা ধ্বংসে স্প্রেসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে তা শুরু হবে।
রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মশার লার্ভা ধ্বংসের জন্য প্রত্যেক উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদসহ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাড়ির আঙিনা, রাস্তার পাশের ঝোঁপঝাড়, জলাশয়, ড্রেন, হাটবাজার ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন