ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুই সংস্থার দ্বন্দ্বে চট্টগ্রামের ওভারপাস নির্মাণ বন্ধ (ভিডিও)

একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১৩:২১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৩:২৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

রেললাইনের উপরের উচ্চতা নিয়ে দুই সংস্থার দ্বন্দ্বে দুই বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে চট্টগ্রামের দুটি ওভারপাস নির্মাণ। কাজ শেষ না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক প্রকল্পের সুফলও আটকে আছে।

২০১৬ সালের জুনে বায়েজিদ লিংক রোড এবং আউটার লিংক রোডের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে দুই লেন উদ্বোধন করার কথা থাকলেও পরে চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।

বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড গত বছরের জানুয়ারিতে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এতে চট্টগ্রাম নগরে প্রবেশ কিংবা বের হতে যানজটের যে ঝক্কি ছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। তবে উচ্চতা জটিলতা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ওভারপাস দুটির নির্মাণকাজ আটকে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে টানেলের পুরো সুফল পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “এই ডিসেম্বরে টানেল চালু হচ্ছে। এই টানেল চালু হলে লিংক রোডে গাড়ির চাপ মারাত্মকভাবে বাড়বে। এই সময়ের মধ্যে এই কাজগুলো সমাপ্ত করতে না পারলে পুরো শহরটা অচল হয়ে যাবে।”

রেলের বহরে ডবল ডেকার বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। ফলে গত বছরের শুরুর দিকে ওভারপাসের উচ্চতা সাড়ে আট মিটার নির্ধারণের পরিকল্পনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ওভারপাসের নির্মাণকাজ আটকে যায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “যেহেতু ডাবল স্ট্রাইক কনটেইনার নেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফলো করছি। আমাদের কথা হলো, যেগুলো নতুন হবে সেগুলো ওই হাইট অনুযায়ী করা হবে আর যেগুলো চলমান আছে সেগুলো ঠিকঠাক করে ডাবল স্ট্রাইকের মতো করা হবে।”

সাড়ে আট মিটার উচ্চতা নির্ধারণ করার আগেই ফৌজদারহাট ওভারপাসের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণাধীন ওভারপাসের উচ্চতা সাড়ে সাত মিটার। এটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কয়েকটি গার্ডারও বসানো হয়েছে। 

স্থপতি এম রাশেদ ইউসুফ বলেন, “অর্ধেক করার পরে যদি কোনো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় এটার উচ্চতা বাড়ানো দরকার বা স্পেইজ আরও দরকার হয় সেক্ষেত্রে এ ধরনের প্রজেক্ট শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়ে যায়।”

চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় বড় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে হাত দেন তিনি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে থমকে যাচ্ছে নির্মাণকাজের গতি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি