ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

শার্শা-বেনাপোলে জোরেশোরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

বেনাপোল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৫:১৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এটি বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে সামনে রেখে যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে জোরেসোরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি।

এবছর উপজেলার ২৯টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১ অক্টোবর পূজা শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ অক্টোবর। বেশিরভাগ মণ্ডপগুলোতে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজ।

ইতোমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে পূজা উদযাপন কমিটির মতবিনিময় সভা হয়েছে। পূজা চলাকালে কঠোর নিরাপত্তায় থাকছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 

গত কয়েকবছর কোভিডের কারণে প্রতিমা তৈরি কিছুটা কম থাকলেও এবার কাজের চাপ বেড়েছে, বেড়েছে মজুরিও। এমনটা জানান প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা। 

বিভিন্ন মন্দির ঘুরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে, পূজামণ্ডপে কাঁদামাটি, বাঁশ, খড়, তুলি দিয়ে শৈল্পিক শ্রদ্ধায় তিল তিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে মহামায়া দেবী দুর্গাকে। শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে একেকটি প্রতিমা। অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি।

এ প্রসঙ্গে মৃৎ শিল্পী শ্রী মাধব দাস বলেন, “মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচড়ের কাজ চলছে। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি আমরা।”

প্রতিমা শিল্পী রতন কুমার জানান, প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের। আগের মত লাভ হয় না। তারপরও করতে হয়। দুই একদিনের মধ্যেই দুর্গা প্রতিমাগুলোর রং ও সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হবে। প্রতিমা তৈরির মজুরি সাইজ ও ধরণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদের শার্শা উপজেলা কমিটির সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হবে। উপজেলার ২৯টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।”

এ বিষয়ে যশোরের নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর করতে দুর্গাপূজার সময় আইনশৃঙ্খলা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কঠোর নিরাপত্তা দিতে পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে থাকবে টহলরত অবস্থায়। 

এ ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম কাজ করবে।
আরএমএ/এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি