ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাওরে শিক্ষার আলো নিভুনিভু (ভিডিও)

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:২৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:০৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চিত্র সারাদেশের তুলনায় হাওরে করুণ। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেও স্বপ্নপূরণের আগেই ঝরে পড়েছে দরিদ্র পরিবারের চারশ’র বেশি সন্তান।

হাওরবেষ্টিত জেলা সুনামগঞ্জ। ঝড়-বাদলের দিন তো অনেকটা সাধারণ বিষয় সেখানকার শিক্ষার্থীদের কাছে। এরচেয়ে বড় বিপদ সামলেই স্বপ্ন দেখে তারা। 

গত মে-জুলাই মাসে দুই দফা বন্যার পর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার এই চিত্র স্বস্তির হলেও ভালো নেই এসব পরীক্ষার্থীরা। এ বছর তাদের অনুপস্থিতি বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।

এক শিক্ষার্থী জানান, “হলে অনেক সিট খালি থাকে। রোল আছে কিন্তু শিক্ষার্থী নাই।”

অভিভাবকরা বলেন, “বইসহ সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যায়। এজন্য তারা পড়ালেখা করতে পারেনি, তাই পরীক্ষা দিতে পারছেনা। অনেক বাচ্চা আছে অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া ছেড়ে শহরে গিয়ে কাজকর্ম করছে, লেখাপড়া বন্ধ করে অনেক মেয়েকে শাদিও দেওয়া হয়েছে।”

হাওরে দিন দিন কমছে শিক্ষায় আগ্রহ। এর একমাত্র কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বিশ্লেষণ শিক্ষকের।

সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুল শিকদার বলেন, “বন্যা পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজগামী যেসকল ছেলেমেয়ে বাড়িতে ছিল তাদের মধ্যে অনেককেই সংসারের জীবন-যিবীকাতে আত্মনিয়োগ করতে হয়েছে। দীর্ঘ করোনাকালীন সময়ের পর বন্যা-প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অনেক মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে।”

শিক্ষা বিভাগ বলছে, এ বছর সুনামগঞ্জে ঝরে পড়েছে চারশ’র বেশি পরীক্ষার্থী।

সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শুধু যে বন্যা তা নয়, করোনা মহামারী, অভিভাবকের উদাসীনতা এবং দারিদ্রতার কারণেই অনেকে ঝরে পড়েছে। সুনামগঞ্জে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো ৪০৮ জন।”

দূরাবস্থা কাটিয়ে উঠার চেষ্টাও চলছে সব পর্যায় থেকে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি