ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
প্রকাশিত : ০৮:৩০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভরণপোষণ ও স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদের না পাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতারণার অভিযোগে ছেলে রফিকুল ইসলামের (৪১) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা মা রোকেয়া আক্তার (৬০)।
মঙ্গলবার নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার সিঙ্গিয়ার কলনিপাড়ার মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী মামলার বাদি রোকেয়া আক্তার।
এর আগে তিনি ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগ দিলে ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ রায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামি রফিকুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
রোকেয়া আক্তার জানান, তিনি দুই ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জননী। স্বামী আবু তাহের ছিলেন অগাধ সম্পদের মালিক। ২০১৫ সালে মারা যাবার পর থেকেই তার কষ্টের জীবন শুরু। সঠিকভাবে তার ভরণপোষণ দিচ্ছেনা সন্তানেরা। এরপর ২০২১ সালে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ওয়ারিশান সার্টিফিকেট বানায় বড় সন্তান রফিকুল। সেখানে বাকি সন্তানদের বাদ দিয়ে নিজেকে মৃত তাহেরের একমাত্র সন্তান উল্লেখ করে রফিকুল।
এরপর থেকেই মা রোকেয়া আক্তারকে ভরণপোষণ দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় সে। স্বামীর ভিটা থেকে বের করে দেবার হুমকি প্রদান করে। বাবার সম্পদের ভাগ নিয়ে ঝামেলা থাকায় অন্যান্য সন্তানেরাও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, এতোদিন গচ্ছিত অর্থ খরচ করলেও এখন তাও শেষ। তাই উপায় না পেয়ে ছেলের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
রোকেয়া আক্তারের ছোট ছেলে রেজাউল করিম বলন, “বাবা প্রচুর সম্পদ রেখে গিয়েছিলেন। আমি তখন ঢাকায় চাকরি করায় আমার অংশ মা ও ভাইয়ের তত্ত্বাবধনে রেখে যাই। তবে এখন জানতে পেয়েছি ভুয়া সনদ বানিয়ে আমার ভাই সব সম্পদের মালিকানা নিয়েছে। মায়ের কাছে জবাব চাইলে তিনিও কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না।”
এই ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম রিপন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার পরিদর্শক এসআই সিদ্দীক হোসেন বলেন, মামলার তদন্তভার আমাকে দেয়া হয়েছে। মায়ের করা মামলায় বড় ছেলে রফিকুল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে মামলাটির তদন্ত এবং আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এএইচ
আরও পড়ুন