ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অক্টোবরে উদ্বোধন হবে কালনা সেতু: কাদের

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:২৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৫:৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতু পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এসময়ে তিনি বলেন, নড়াইলবাসীর জন্য এ সেতুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুটি উদ্বোধনের তারিখও তিনিই নির্ধারণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিনি কালনা সেতু দেখতে আসেন।

মন্ত্রী বলেন, “অক্টোবরে উদ্বোধন হবে কালনা পয়েন্টে নির্মাণাধীন সেতুটি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কালনা সেতু ছিল মিছিংলিংক। এ সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কানেক্ট করবে। এর সুফল পাবে যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বেনাপোল অঞ্চলের মানুষ।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসলাম আলী, গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুরুজ মিয়া, কালনা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য, প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসান ও পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে।

কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, কালনা দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু এটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশে ছয় লেনের সংযোগ সড়ক প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। 
সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ৯৬০ কোটি টাকা। 

এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত এটি। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে কালনা সেতু। 

কালনা সেতু চালু হলে শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ভারত, কোলকাতা, আসামসহ দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া নদীবন্দরের মধ্যে যোগাযোগের মাইলফলক রচিত হবে। নড়াইলের লোহাগড়ায় ইপিজেড চালুসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

কালনাঘাটে স্থাপিত নামফলক থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কালনা সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কালনাঘাট থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ১০৮ কিলোমিটার। ফলে ঢাকার সঙ্গে নড়াইল, বেনাপোল, যশোর, খুলনাসহ আশেপাশের সড়ক যোগাযোগ কোথাও ১০০ কিলোমিটার, কোথাও আবার ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি