ছুরিকাঘাতে ছেলে আহত, সৎ পিতা গ্রেফতার

বালিয়াডাঙ্গীতে রনি (১৫) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে গুরুতরভাবে জখম করার অভিযোগে সৎ বাবা মাহাবুব রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের রুপগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত রনি ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত রনি ওই গ্রামের নাসিরুল ইসলামের ছেলে। রনির সৎ বাবা মাহাবুব চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শংকর বাটি গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে।

এ ঘটনায় রনির বাবা নাসিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম অভিযোগের বরাদ দিয়ে জানান, নাসিরুল ইসলাম তালাক দেওয়ার পর মাহাবুব রহমানের সাথে দ্বিতীয় সংসার করে স্ত্রী নুর নিহার। নাসিরুলের ছেলে রনি কিছুদিন তার মায়ের কাছে ও কিছুদিন তার বাবার কাছে থাকতেন।

রনি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে শ্রমিকের কাজ করতেন। বিকালে তার সৎ পিতা মাহাবুব রহমান নেশা করার জন্য টাকা চাইলে রনি দিতে অস্বীকার করেন। এসময়ে তার মাথা, বুক ও হাতে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায় মাহাবুব। এক পর্যায়ে পালানোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

আহত রনিকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

রনির ফুপু নাসরিন বলেন, রনির মা মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছিল। মাদ্রাসা থেকে আসলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রনির সাথে মারামারি করে তার সৎ বাবা। এসময় রনিকে দা দিয়ে আঘাত করছে সে।

রনির বাবা নাসিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ছেলের অবস্থা উন্নতি-অবনতি কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জড়িতের শাস্তির দাবি করছি।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন জানান, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এএইচ