পরকীয়া সন্দেহে মেয়ের সামনে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক
প্রকাশিত : ১১:৫১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়ের সামনে স্ত্রী বিউটি বেগমকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছে তার স্বামী আব্দুল বারেক (৪৯)।
রোববার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুলপাড়া এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘাতক স্বামী আব্দুল বারেক ওই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোভ্যান চালক। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। নিহত বিউটি ওই এলাকারই আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
ঘটনার রাতে ১২ বছর বয়সী মেয়ে মাহি আক্তারের সামনেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় আব্দুল বারেক।
এলাকাবাসী জানায়, একই এলাকার জনৈক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রির সাথে স্ত্রী বিউটি খাতুনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে প্রায়ই দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হতো তাদের মধ্যে। শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল বারেক ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্ত্রী বিউটির গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ সময় মেয়ে মাহির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দেখেন বিউটি বেগমের রক্তাক্ত মৃত দেহে মেঝেতে পড়ে আছে। পরে ৯৯৯-এর ফোনের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
বড়াইগ্রাম থানার এসআই জুবায়ের হোসেন জানান, রাত আড়াইটার দিকে ৯৯৯-এর ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গোপালপুর স্কুলপাড়ায় আব্দুল বারেকের বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্রদিয়ে গলাকাটা অবস্থায় গৃহবধূ বিউটি বেগমের লাশ পাওয়া যায়। এসময় ওই গৃহবধূর স্বামী আব্দুল বারেককে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে স্বামী আব্দুল বারেক স্ত্রী বিউটি বেগমকে গলাকেটে হত্যা করেছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে পুলিশ বলেও জানান ওসি।
এএইচ
আরও পড়ুন