ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়া কাগজে এতিম শিশুদের অর্থলোপাট (ভিডিও)

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:২৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভুয়া কাগজে কুড়িগ্রামের এতিম ও দুস্থ শিশুদের নামে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতিমখানায় শিশুর সংখ্যা কম থাকলেও কাগজে-কলমে দেখানো হয়েছে দ্বিগুণ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অর্থলোপাটের চিত্র। এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপও নেই।

কুড়িগ্রামের ৮ উপজেলায় নিবন্ধিত বেসরকারি এতিমখানা ২১টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ হাজার ৭২ জন। এরমধ্যে সরকারি সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী ৯২৬ জন। 

নাগেশ্বরী উপজেলার সমশের আলী শিশু সদনে ৫০ এতিম শিশুর জন্য বছরে বরাদ্দ ১২ লাখ টাকা। সরকারিভাবে ৫০ জনের বরাদ্দ পেলেও এখানে শিশুর সংখ্যা ৩৫। 

রৌমারীর টাপুরচর দারুল উলুম এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ১০০ শিশুর জন্য ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে এই এতিমখানায় শিশু রয়েছে মাত্র ১৮। এরমধ্যে আবার বেশির ভাগই এতিম নয়। 

বায়তুল ক্বারার গোলাম হাবিব শিশু সদনে ৭০ এতিমের বিপরীতে ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও এখানে এতিমের সংখ্যা অর্ধেক। একই চিত্র উলিপুরে জুম্মাহাট হাফিজিয়া কারিয়ানা মাদ্রাসা ও আদর্শ এতিমখানার।

এতিম শিশুরা জানায়, “বেশির ভাগ সময়ে ডাল-আলু ভর্তা দিয়ে খাবার দেওয়া হয়।”

বিধি মোতাবেক সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধিত এতিমখানায় ৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন এতিম থাকতে পারবে। সরকারিভাবে প্রত্যেক এতিম শিশুর জন্য মাসিক বরাদ্দ দু’হাজার টাকা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী যেসব শর্তে বরাদ্দ আসে সেসব কিছু পূরণ করে না এতিমখানাগুলো।

তবে এ বিষয়ে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার ৯৮১ এতিম শিশুর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি