বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে দুর্ভোগে এলাকাবাসী
প্রকাশিত : ১৯:২২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের বেলতার মৌতার খালের ওপর স্থানীয়দের নির্মিত দশটির অধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা ও জেলা শহরে যাতায়াতের ভরসা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের প্রায় দশটি গ্রামের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ঝিকরগাছা ও জেলা শহরে যাতায়াতের উপযুক্ত ও সংক্ষিপ্ত পথ শাড়াতলা থেকে বেলতা হয়ে এবং প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল রয়েছে এই রাস্তাটি সংলগ্ন। সেটা ভেবে যাতায়াত ও ফসলের সুবিধার্থে কয়েকবছর পূর্বে স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। রাস্তাটা যাতায়াতের নির্ভরযোগ্য বলেই সাঁকোটির মাত্র তিন'শ ফুট দূরেই আছে পিচের পাঁকা রাস্তাও। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়লেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুড়ি দিয়ে আসলেও অদ্যবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি তারা।
এলাকার চাষীরা জানান, কষ্ট করে সবজি চাষ করে এই ব্রিজের জন্য বাজারজাত করতে পারছি না। এখানে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়াতে কোনো যানবাহন আসছে না। এমনকি জমিতে সার প্রয়োগ করতে হলে এখন মাত্র ৬-৭ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টা ঘুরে জমিতে আসতে হচ্ছে।
কলেজ ছাত্র জাহিদ হাসান জানান, আগে বাসা থেকে কলেজে যেতে মাত্র ২৫ মিনিট সময় লাগতো কিন্তু সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর সেখানে পথ বেড়েছে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার। যার ফলে এখন সময় ও প্রায় ৪০-৫০ মিনিট বেশি লাগে। দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে হচ্ছে আমাদের।
ভূক্তভোগী সমাজসেবক নুর ইসলাম জানান, কয়েকবছর আগে চাঁদা তুলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ওই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই সাঁকো পার হয়েই ইউনিয়নের পন্ডিতপুর, শাড়াতলা, গোকার্ণ, দূর্গাপুর, চন্দ্রপুর, খলিসাখালী, পাকশিয়া, কাশিপুর, বাউন্ডারি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ যাতায়াত করে আসছিলো। কয়েক মাস পূর্বে সাঁকোটি ভেঙ্গে পরায় এলাকাবাসীদের চরম দুর্ভোগে পরতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এম. এম মামুন হাসান জানান, জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো আছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।
কেআই//
আরও পড়ুন