ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অর্থ আত্মসাৎ: চার ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের সাজা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৫, ৩ অক্টোবর ২০২২

নোয়াখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এক গ্রাহকসহ সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিদের তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের এজিএম এ জে আবদুল্লা আল মামুন, সিনিয়র অফিসার জাকের উল্লাহ, ক্যাশিয়ার এম এ রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সামছুদ্দোহা নাহাদ ও ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক। তিনি কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি জাকের উল্লাহ, এম এ রহমান, মো. সামছুদ্দোহা নাহিদ ও মো. মোশতাক আহমেদ সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আদালত এ মামলার রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা দেয়ার পাশাপাশি তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

নোয়াখালী দুদকের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পলাতক আসামি নিজাম উদ্দিন ফারুককে ২৫ বছরের সাজা ও দুই কোটি দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া চার ব্যাংক কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ২৫ বছর করে কারাদণ্ড ও এক কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। তবে বিভিন্ন ধারায় সাজা যুগপৎ হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর করে কার্যকর হবে।

জানা যায় , আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ মাছ রেখে ব্যবসার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুলাই দুই কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। পরে মাছ না কিনে ভুয়া ভাইচারের মাধ্যমে ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৪টি চেকে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করেন। এর বিপরীতে ৫১ হাজার ৪৩৯ কেজি ইলিশ মাছ ক্রয় করে গুদামজাত করার কথা থাকলেও তা না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তফা কামাল ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সাতজনকে আসামি করে সুধারাম থানায় মামলা (নম্বর-১৭) দায়ের করেন। পরে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (নম্বর-৪২৪) দাখিল করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আশাকরি সেখানে ন্যায়বিচার পাবো।

আসামি পক্ষের এ আইনজীবী দাবি করেন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের অজান্তে নকল চাবি তৈরি করে ওই ব্যবসায়ী গুদাম থেকে মাছ সরিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সেটা জেনেও আদালতকে অবহিত করেননি।

রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মীর আবদুল লতিফ ও ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকীকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এএইচএস


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি