পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে দেশে জ্বালানি তেল উৎপাদন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৭, ১০ অক্টোবর ২০২২
ফেলে দেয়া পলিথিন থেকে তৈরি হচ্ছে জ্বালানি তেল। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে থাই প্রযুক্তিতে কারখানাও স্থাপন করেছেন স্থানীয় এক উদ্যোক্তা। বিসিএসআইয়ের অনুমোদন পাওয়া অহিল পলি পেট্রোলিয়ামের পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল বাজারজাতও হচ্ছে। তরুণ এই উদ্যোক্তা বলছেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই প্রযুক্তিতেই বড় পরিসরে বেশি জ্বালানি তেল উৎপাদন সম্ভব।
ভৈরবের ইউসুফ আহমেদ গালিব, শহরের পরিত্যক্ত পলিথিন দিয়ে ৩ ধরনের জ্বালানি তেল উৎপাদন করে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ১শ’ ২০ কেজি পলিথিন থেকে ৭০ লিটার পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল উৎপাদন হচ্ছে।
২০১৮ সালে থাইল্যান্ডের একটি কোম্পানীর কাছ থেকে প্রযুক্তিটি পান। তাদের কাছ থেকে কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণও নেন ইউসুফ।
ওই বছরই পেটেন্ট সংগ্রহ করে ভৈরবের পলতাকান্দায় পরীক্ষামূলকভাবে আহিল পলি পেট্রোলিয়াম কারখানা গড়ে তোলেন।
তরুণ উদ্যোক্তা ইউসুফ আহমেদ গালিব বলেন, “যে পরিমাণ পলিথিন ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এগুলোর জন্য পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। যার জন্য চিন্তা করলাম এই পলিথিন নির্মূল করার একমাত্র ওয়ে এখন এইটা। এর মাধ্যমে জ্বালানি তেলের ঘাটতি পূরণ করাও সম্ভব হচ্ছে।”
২০১৯ সালে বিসিএসআইআর তেলের গুণগত মান পরীক্ষা করে উৎপাদনের অনুমতিও দেয়।
তেলের চাহিদা থাকায় কারখানাটিকে আরও বড় পরিসরে গড়ে তুলতে চান এই উদ্যোক্তা। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন ইউসুফ আহমেদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে।
৭ জন শ্রমিক, এলাকাবাসি, আগত দুর-দুরান্ত থেকে
পরামর্শ নিতে আসা তরুণরা বলেন, “আসার পর দেখলাম অনেক সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। নষ্ট পলিথিন দিয়ে তেল তৈরি করছেন তাতে দুটি লাভ হচ্ছে। কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে।”
এ প্রযুক্তিতে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি তেল উৎপাদন হলে আমদানী নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে বলে জানান তরুণ এই উদ্যোক্তা।
এএইচ
আরও পড়ুন