সিংড়ায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১২:২০, ১০ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৩:০২, ১০ অক্টোবর ২০২২
নাটোরের সিংড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব হোসেন নিহতের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহুল আমিন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রুহুল আমিন আজ সোমবার ভোর ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আ'লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও তার ভাই বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সাথে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ৯টার দিকে এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে আফতাব হোসেনসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিংড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আফতাব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রুহুল আমিনসহ ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে রুহুল আমিন মারা যান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সুকাশ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার বাহিনী যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও আ’লীগ নেতা আফতাব হোসেনকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
নিহত আফতাবের প্রতিপক্ষ সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বানোয়াট দাবি করে বলেন, কোন কারণ ছাড়াই তার সমর্থক রুহুল আমিন ও মাসুদ নামে দু’জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া তার দু’জন কর্মীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন