লিবিয়ায় নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, ২ দালাল গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ১০ অক্টোবর ২০২২
মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পরে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে এক যুবকের মৃত্যু ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু সাঈদ।
দুই আসামি গ্রেফতারসহ মানব পাচার মামলায় জড়িতদের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার একওয়ান নামের এক যুবককে লিবিয়া হয়ে ইতালী পাচারের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় দালাল আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী আছমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য আসামিরা প্রবাসে থাকায় তাদেরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম, ডিআইও-১ আজিজুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামের মৃত সমসর আলীর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪১) বাদি হয়ে মানবপাচার আইনে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আসামি আবুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ তার লিবিয়া প্রবাসী পুত্র আসামি আলী হোসেনের মাধ্যমে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালী পাঠানোর জন্য প্রলুব্ধ করে। এক পর্যায়ে ইতালী পাঠানোর কথা বলে ঊনিশ লাখ টাকার চুক্তিতে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে বাদীর ছেলে ভিকটিম একওয়ান ইসলামকে দুবাইয়ে প্রেরণ করেন আবুল মিয়া।
সেখান থেকে একওয়ানকে লিবিয়ায় আলী হোসেন ও তার আত্মীয় সালেহ আহমদের নিকট পাঠিয়ে দেয়।
বাদী তার ছেলেকে ইতালিতে পাঠাতে না পারলে দেশে ফেরত আনার জন্য আসামি আবুল মিয়াকে জানায়। আসামিরা হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে বাদীর সন্দেহ হয়।
মামলা রুজুর পর জগন্নাথপুর থানা পুলিশের দুটি টিম সুনামগঞ্জ জেলাসহ সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করে রোববার হবিগঞ্জ জেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহনপুর নামক এলাকা হতে মামলার এজাহারনামীয় আসামি আবুল মিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০)কে গ্রেফতার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা, ৭টি মোবাইলফোন, ১টি এটিএম কার্ড, ২টি ব্যাংক চেকসহ ১টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
বাদির অভিযোগ, লিবিয়ায় অবস্থারত আলী হোসেন ও সালেহ আহমদ তাদের সহযোগি মাফিয়া চক্রের মাধ্যমে একওয়ান ইসলামকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন