ষাট বছর ধরে পতিত জমিতে গাছ লাগান ‘গাছ দাদু’ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১৪, ১৫ অক্টোবর ২০২২
দীর্ঘ ষাট বছর ধরে সরকারিসহ পতিত জমিতে নানা জাতের গাছ লাগিয়ে আসছেন মেহেরপুরের স্কুলশিক্ষক আজিজুল হক। পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষায় নিঃস্বার্থ এই কাজের জন্য সবাই তাকে চেনেন গাছ দাদু নামে।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক ধরে গাঁড়াডোবের দিকে যেতে রাস্তার দু’পাশে শোভা বাড়াচ্ছে ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির শত শত গাছ। আজিজুল হকের নিজ হাতে লাগানো গাছগুলো।
ফজরের নামাজ পড়েই বের হন গাছের পরিচর্যায়। কোনোটি মারা গেলে সেখানে নতুন গাছ লাগানো, আগাছা ছাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা কাজে সারাদিনই ব্যস্ত থাকেন আজিজুল হক।
গাছে গাছে ধরা মৌসুমী ফল বিনামূল্যে খাবার সুযোগ পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, “ছোটবেলা থেকেই দেখছি তার নেশা গাছ লাগানো। যেখানেই জায়গা খালি পায় সেখানেই তিনি নিজ উদ্যোগে গাছ লাগান এবং গাছগুলোর পরিচর্যা করেন।”
এ কাজে সহযোগী তার সন্তানরাও।
আজজুল হকের ছেলে মুস্তাক আহাম্মেদ বলেন, “রাস্তার পাশেপাশে যেখানেই পতিত জমি পান সেখানেই তিনি গাছ রোপণ করেন। পরিচর্যা করেন নিজ উদ্যোগে।”
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ চালিয়ে যেতে চান গাছ দাদু।
আজিজুল হক মাস্টার (গাছ দাদু) বলেন, “ষাট সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলাম, এরপর শুরু করি গাছ লাগাতে। এখন আমার বয়স ৮৩ চলছে।”
প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননার জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছে বন বিভাগ।
মেহেরপুর বনবিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাফর উল্লাহ বলেন, “পূর্বে যেসব গাছপালা রোপণ করেছেন, সেই গাছপালা যত্ন করেছেন, বড় করেছেন। প্রকৃতিতে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। আমরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”
আজিজুল হকের এমন মহৎ উদ্যোগ অন্যদের কাছে দৃষ্টান্তের, মন্তব্য জনপ্রতিনিধির।
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, “এই কাজটি যেকোনো মানুষ করতে পারেন। প্রশংসার দাবি রাখে এই কাজটি।”
এএইচ
আরও পড়ুন