ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লালন দর্শনে মুগ্ধ ফরাসিকন্যা, থেকে যেতে চান আমৃত্যু (ভিডিও)

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:০২, ১৯ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৫:০৫, ১৯ অক্টোবর ২০২২

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে মুগ্ধ হয়ে ফরাসিকন্যা দেবোরা কিউকারম্যান আস্তানা গেড়েছেন বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়। লালনভক্তদের জীবনাচরণে মুগ্ধ দেবোরা শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন প্রবীন বাউল নহির উদ্দিনের কাছে।  

প্যারিস শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর মেয়েটির শিক্ষাজীবন থেকেই ঝোঁক যোগশাস্ত্র আর বাউলতত্ত্বে। সেই তত্ত্বের সন্ধানে ঘুরেছেন ১৫টি দেশ। লালন ফকির সম্পর্কে জানতে পেরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান ২০১৬ সালে। 

বলছি দেবোরা কিউকারম্যানের কথা। কুষ্টিয়ায় এসে বাউলদের জীবনাচারে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। প্রবীন বাউল নহির উদ্দিনের শিষ্যত্ব নিয়ে নাম বদলে হয়েছেন দেবোরা জান্নাত।

দেবোরা জান্নাত বলেন, “আমরা মূলত গুরুমুখী, শুরুর শিক্ষামুখী। এই উদ্দেশ্যে আমাদের জীবন যাপন, জীবন গঠন।”

দেবোরার গুরু ফকির নহির উদ্দিন বলেন, “তার মূলে কিন্তু নিজকে চেনার, নিজকে ভালোবাসার এবং নিজে নিজে আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করা। এটাই তার সূক্ষ্ম চিন্তা-ভাবনা।”

লালন দর্শনের প্রকৃত রস আস্বাদনে এদেশে স্থায়ীভাবে থাকা চাই। তাই গুরুর ভাইপো বাউল রাজন ফকিরকে বিয়ে করেন দেবোরা। 

দেবোরা জান্নাত আরও বলেন, “আমরা দু’জন ভাবতাম বিয়ে আমরা করবো না। কেননা আমাদের মতোন মানুষকে কে বিয়ে করতে যাবে। যে নিরামিষ খাবে, রাতের বেলায় নাও খেতে পারে, ছেলেপেলে নিতে চায় না।”

দেবোরার স্বামী বাউল রাজন বলেন, “আমাদের দেশে সংসার কিভাবে গোছাতে হয়, রানাবান্না ধীরে ধীরে শিখে এখন পুরো বাঙালির মতো হয়ে গেছে।”

ভবিষ্যতে লালন গবেষণার পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে কাজ করারও ইচ্ছা তার।

ফরাসীকন্যা বলেন, “আমি ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে চিন্তা বেশি করি। কারণ এরাই আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ, দেশের ভবিষৎ, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।”

লালনের দেশ কুষ্টিয়ায় আমৃত্যু সাধুসঙ্গ নিয়ে থাকতে চান দেবোরা।

এই লালন প্রেমিক বলেন, “আমাদের ঘরে আস্তে আস্তে একটি লাইব্রেরি করছি। বই থেকে যেটুকু জ্ঞান অর্জন করা যায়। বইয়ের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভ্রমণ করাও যায়।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি