ভাইরাস ও রোগ জীবানু নির্ণয়ে
সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু
প্রকাশিত : ১৪:৪৭, ২১ অক্টোবর ২০২২
সুন্দরবনে দেশ-বিদেশী পর্যটকদের সংস্পর্শে আসা বন্য প্রাণীর শরীরে বহন করা বিভিন্ন ভাইরাস ও রোগ জীবানু নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ শুরু করছে বন্যপ্রানী বিশেষজ্ঞ একটি মেডিকেল টিম। বন্য প্রাণীর শরীর থেকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে পরার কারণেই এমন উদ্দ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ।
সুন্দরবনে প্রজনন কেন্দ্রটি সৃষ্টির ২০ বছর পর এই প্রথম বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র ও পর্যটক স্পটগুলোতে খাচায় সংরক্ষিত এবং উম্মুক্ত ভাবে চলাচল করা বন্যপ্রাণীদের রক্তের নমুনা নিয়েছে তারা।
বন বিভাগ বলছে, বন্যপ্রাণীর শরীরে বহনকরা বিভিন্ন মারণ ঘাতক ভাইরাস বনের সৌন্দার্য ঘুরে দেখতে আসা পর্যটকদের দেহে ছড়িয়ে পরতে পারে এমন সন্দেহে বন্য প্রাণীদের পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য এ উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন বিভাগের সন্দেহ সঠিক হলে প্রয়োজনে সুন্দরবনের সকল বন্যপ্রাণীদের পরীক্ষা ও চিকিৎসার আওতায় আনা হবে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “সুন্দরবনের মনোরম পরিবেশের সৌন্দার্য উপভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমণে এসে বনের বন্যপ্রাণীদের দেখলেই একটু ছুঁয়ে দেখতে চান। কেউ বন্যপ্রাণীর কাছে গিয়ে ছবি তোলেন আবার কেউ ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের নিয়ে নিজ হাতে খাবার খাওয়াতে পছন্দ করেন। তবে অনেকেই জানে না এ বন্যপ্রাণীদের শরীরে বহন করতে পারে মরণ ঘাতক বিভিন্ন রোগের ভাইরাস ও জীবানু। তাই বন বিভাগের গ্রহণ করা “সুফল নামের প্রকল্পের” মাধ্যমে দেশে যতগুলো বন্যপ্রাণীর অভায়রণ্য, প্রজনন কেন্দ্র বা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংরক্ষণকরা বন্যপ্রানী রয়েছে, সে সকল প্রাণীদের শরীর থেকে রোগ বা রোগের ভাইরাস নির্নয় করার জন্য রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “অন্যান্য জায়গার ন্যায় গেল সপ্তাহে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে এই প্রথম সরাসরী মানুষের সংষ্পর্সে আসা ১০টি হরিণ ও ১০টি বানরের রক্তের নমুনা নেয় ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম। চলতি বছরের জানুয়ারীতে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ চলবে আগামী ২০২৩ সালে জুন পর্যন্ত। আর পর্যাক্রমে নেয়া হবে সকল প্রাণীর রক্তের নমুনা।”
বন বিভাগের বেটানারী সার্জন ও বন্যপ্রাণী রোগ নির্ণয় গবেষক ডা: নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও বন বিভাগের সুফল প্রকল্পের সরকারী গবেষণা কর্মকর্তা ডা: রবিউল হাসান বলেন, “বন্যপ্রানীদের বহনকরা করোনা ভাইরাস, বার্ড ফ্লু, নিপা ভাইরাস ও টিবি সহ বেশ কিছু বড় বড় রোগের ভাইরাস বা জীবানু মানবদেহে প্রবেশ করেলে বড় ধরণের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।”
এসএ/
আরও পড়ুন