বাগেরহাটে মুশলধারে বৃষ্টি, আতঙ্ক বাড়ছে উপকূলে
প্রকাশিত : ১১:০২, ২৪ অক্টোবর ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে শুরু হয়েছে মুশলধারায় বৃষ্টি। এতে উপকূলবাসীর মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টির সাথে হালকা এবং মাঝারি ধরণের দমকা হাওয়াও রয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এই বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর মধ্যে ততো বাড়ছে আতঙ্ক। স্থানীয়রা প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যাওয়ার।
শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী আব্বাস তালুকদার বলেন, রোববার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি রাতে মুশুল ধারায় নেমেছে। এখনও নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ের সময় কি হবে জানিনা।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহর বুনিয়া এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, সিত্রাং যদি সিডরের মত রুপ নেয়, তাহলে আমরা খুব বিপদে পড়ে যাব। নদীবেষ্টিত আমাদের এই ইউনিয়নকে জলচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য কোন বাঁধও নেই। অনেক জানমালের ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
শুধু আব্বাস ও হাফিজুর নয়, বাগেরহাটের বেশির ভাগ এলাকার মানুষের শঙ্কা এটি। তবে সিত্রাং মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝূকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ২৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন দেখা দিলেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এদিকে, কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেঃ কমান্ডার মোঃ মহিউদ্দিন জামান।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঝুকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আমাদের এলাকায় আঘাত হানে তাহলে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র অথবা কোস্টগার্ডের বেজ ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। ক্রমশ এটির শক্তি বাড়ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন