ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পতেঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ধীরগতি (ভিডিও)

হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১৫:০৫, ৩০ অক্টোবর ২০২২

প্রকল্প গ্রহণের পাঁচ বছর পর পরিবর্তন আনা হলো চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার এ্যালিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের নকশায়। প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে দুই বছর, নির্মাণ ব্য়য় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। কোন ধরনের সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। 

সিডিএ’র উদ্যোগে নেয়া পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এ্যালিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে একনেক সভায় অনুমোদন হয় ২০১৭ সালে। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে প্রকল্পটি কাজ শুরুর পর তিন বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও পরে মেয়াদ বর্ধিত করা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। 

প্রকল্প অনুমোদনের আগে পরমার্শক নিয়োগ না দেয়া এবং প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির আগে স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের সমীক্ষা না থাকায় মাঝ পথে নকশায় পরিবর্তন আনার কথা জানান সিডিএ কর্মকর্তারা।

সিডিএ প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, “আমরা তখন স্ট্রাকচারাল ডিজাইন স্টাডি করিনি, কারণ এটা করতে গেলে পুরো ১৬ কিলোমিটারের সয়েল স্টেট করতে হতো। তখন ওই সময়টুকু ছিল না।”

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ৩২ শংতাশ অর্থাৎ এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।

মাহফুজুর রহমান বলেন, “প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা। এই ব্যয় বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে এলাইনমেন্ট পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণ, স্থাপনার ক্ষতিপূরণ, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি- সবগুলো মিলিয়ে ৩২ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে।”

কোন ধরণের সমীক্ষা ছাড়া এ্যালিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের মত একটি বড় প্রকল্পের অর্থায়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা দেশের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনরা। 

আইবি’র সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, “ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার যেই কাহিনী আমরা শৈশব থেকে শুনেছি এ্যালিভেটেট এক্সপ্রেসওয়েটা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামগ্রিক পরিকল্পনার কোনো বিশদ অবস্থায় না গিয়ে একটি ডিপিপি তৈরি হলো এবং রাতারাতি সেই ডিপিপি পাস হলো। অনেকের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাই করেনি। যেটি একনেকে পাস হওয়ার পূর্ব শর্ত। সেই পূর্বশর্ত পূরণ না করে তারা এটি অনুমোদন করিয়েছে। যার কারণে কাজ থামিয়ে থামিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে, নতুন করে নকশা প্রণয়ন করতে হচ্ছে।”

এদিকে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে চার থেকে ছয় ঘন্টা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি