নাতনিকে ধর্ষণের তিন মাস পর দাদা গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১২:১৭, ৩১ অক্টোবর ২০২২
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা আব্দুস সালামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৩ জুলাই কাওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
এ ঘটনার তিনমাস পর রোববার রাতে (৩০ অক্টোবর) ভিকটিম ওই শিশুর মা বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুস সালাম উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের হিজলি দীঘাপাড়াা গ্রামের মৃত রমজান খলিফার ছেলে।
মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, অভিযুক্ত আব্দুস সালাম সম্পর্কে তার মামা শ্বশুর। তার শিশু কন্যা সালামের নাতিন। গত ১৩ জুলাই আব্দুস সালামের আপন ভাতিজীর বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে আমার ১০ বছরের শিশু কন্যা কাওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীও বিয়ে বাড়িতে ছিল।
মামা শ্বশুর আব্দুস সালাম মেয়েকে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির স্টোর রুমে নিয়ে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ে চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে এবং এই কথা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেই ভয়ে মেয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলেনি। এরপর তিনমাস আত্মগোপনে চলে যান ধর্ষক সালাম।
তিনদিন মাস পর সে বাড়িতে আসে। আর তাকে দেখার পর থেকে আমার মেয়ে প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে ভয়ে কেঁদে ওঠে। রোববার সকালে মামা শ্বশুর আব্দুস সালামকে দেখে সে ভয় পায় এবং দৌড়ে এসে আমাকে ওইদিনের ঘটনা খুলে বলে।
ভিকটিমের মা বলেন, মেয়ের মুখে সব শুনে রাতেই থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। ধর্ষক সালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিশু প্রায় তিনমাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়। রোববার রাত ৮টার দিকে এজাহার পেয়ে রাত ১০টার দিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন