সিত্রাংয়ে নোয়াখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, সহযোগিতা চান ক্ষতিগ্রস্তরা
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ১ নভেম্বর ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলে গেলেও এর বিরূপ প্রভাব রয়ে গেছে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায়। সিত্রাংয়ের বিরূপ প্রভাবে হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে রোপা আমন ধান, শীতকালীন শাক-সবজি ও পোল্ট্রি খাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি সহায়তা না পেলে শুধু ভুক্তভোগিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, এর জের টানতে হবে ক্রেতাদেরও। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে সহায়তার আশ্বাস প্রশাসনের।
জেলায় ৯৩৬ হেক্টর শীতকালীন ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নোয়াখালীতে প্রায় ৮ হাজার ৬৩৯ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাতাসের কারণে অধিকাংশ রোপা আমন হেলে পড়েছে। এতে ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা।
কৃষরা বলছেন, ধারদেনা করে আবাদ করা ফসল চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সর্বশান্ত হবার উপক্রম হয়েছে তাদের। সরকারি সহযোগিতা না পেলে কোনভাবেই এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে প্রাণি সম্পদের মধ্যে পোল্ট্রি সেক্টরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড বাতাসে বেশ কয়েকটি মুরগীর খামার পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। ঘর পড়ে ও পানিতে ডুবে মারা যায় খামারে থাকা হাজার হাজার মুরগী। খামারীদের অভিযোগ তাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে, অনেকে পথে বসার উপক্রম।
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালী জুড়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে পোল্ট্রি শিল্পে ক্ষতি বেশি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। কোনো প্রকার সহযোগিতা পেলে তাদের দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবর রহমান বলেন, ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি কৃষি ও পোলট্রি ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে। যাচাইবাছাই শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা আশ্বাস দেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেরই নেই নতুন করে আবাদ বা ব্যবসা শুরু করার সামর্থ্য। এমন বাস্তবতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার না দাঁড়ালে কেবল কৃষকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, এর জের টানতে হবে ক্রেতাদেরও।
এএইচ
আরও পড়ুন