গাজীপুর শিল্পকারখানায় গ্যাস সংকট, উৎপাদন কমে অর্ধেক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০২, ৫ নভেম্বর ২০২২
গ্যাস সংকটে শিল্পাঞ্চল গাজীপুরের কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মালিকরা বলছেন, উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে বন্ধের উপক্রম অনেক কারখানা। আর তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়লে সংকট কেটে যাবে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে ছোট বড় প্রায় তিন হাজার শিল্পকারখানার মধ্যে গ্যাস সংযোগ আছে ৯৭৩টিতে। প্রতিদিন ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসভিত্তিক জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প গ্যাসের মাধ্যমে এসব কারখানা চলে।
গত প্রায় তিন মাস ধরে অধিকাংশ শিল্পকারখানায় চলছে গ্যাস সংকট। মূল লাইন থেকে কারখানার লাইনে ১৫ পিএসআই চাপ থাকার কথা থাকলেও অর্ধেকও পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানা মালিকরা জানান, গ্যাসের অভাবে দিনের বেলা উৎপাদন স্বাভাবিক না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সাদমা গ্রুপের পরিচালক মো. সোহেল রানা বলেন, “আমাদের এখানে বাইরের লাইনে ৪ আর ভেতরের লাইনে থাকছে ২ পিএসআই। যেটা ৪ থেকে ৫ পিএসআই থাকলে কারখানাটি সচল রাখতে পারি। ৫০ শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে কোনো ক্রমে চলতে হচ্ছে।”
ইপিলিওন টেক্সটাইলের জেনারেল ম্যানেজার রথীন পল্লব চক্রবর্তী বলেন, “হঠাৎ করে আরইবি চলে যাওয়া এবং গ্যাস না থাকার কারণে কোয়ালিটি অব প্রোডাক্টের মান নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আমাদের এখানে ৫ হাজার ওয়ার্কার কাজ করে, তাদের বেতন ও বিভিন্ন খরচাদি মেন্টেন করা সম্ভব হচ্ছে না।”
ঘাটতির কথা স্বীকার করে তিতাস কর্মকর্তা জানান, জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়লে সংকট কেটে যাবে।
গাজীপুর তিতাসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শাহজাদা ফরাজী বলেন, “জাতীয় নেটওয়ার্ক থেকে তিতাস যতুটুকু সরবরাহ পায় সে অনুপাতে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। জাতীয় নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”
দ্রুত সমস্যার সমাধান চান শিল্প-মালিকরা।
এএইচ
আরও পড়ুন