শত সেতুতে উচ্ছ্বসিত ২৫ জেলার মানুষ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০১, ৮ নভেম্বর ২০২২
১০০ সেতু পেয়ে উচ্ছ্বসিত ২৫ জেলার মানুষ। বলছেন, সেতুগুলোর কারণে যাতায়াতের সময় কমে সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও সহজ হবে, বাঁচবে সময় ও অর্থ, বিকশিত হবে অর্থনীতি ও পর্যটনখাত। একযোগে উদ্বোধন করে যান চলাচলে খুলে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ তারা।
হাওরবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সুনামগঞ্জের ১৭টি সেতু চালুতে। কুশিয়ারা নদীতে ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭০২ মিটারের রানীগঞ্জ সেতু সড়কপথে সংযোগ ঘটিয়েছে উত্তরপাড়ের সাথে দক্ষিণপাড়ের। সেতু পেয়ে যাতায়াতের বিড়ম্বনামুক্ত হাওরবাসী।
"ঢাকা থেকে আমাদের যাত্রাপথে ৫২ কিলোমিটারে আসবে, এতে আমরা সত্যিই আনন্দিত।" বলেন একজন স্থানীয় বাসিন্দা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, "আমরা ভাটি এলাকার মানুষ খুব খুশি, আমাদের রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার আরেকটা রাস্তা খুলল, দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় বাঁচবে।"
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়াবাসীরও। ১৮০ দশমিক ৩৭৩ মিটারের কালারপুল অহিদিয়া আখতারুজ্জামান সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও নগরীর সাথে পটিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় রচিত হয়েছে নতুন মাইলফলক।
"আমার কাছে লাগছে যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পটিয়াবাসীর জন্য এই উপহার দেওয়ায় আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।" বলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
একশ’ সেতুর মধ্যে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেই রয়েছে ৪২টি। আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে পাকা সেতুগুলো।
"আগে বেইলি ব্রিজ থাকার সময় আমরা খুব কষ্ট করেছি, কাছে গাড়ি আসলে ভেঙে পড়ত।" বলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
আরেকজন বলেন, "এখন ব্রিজটা হওয়াতে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।"
সড়ক যোগাযোগে গতি আনতে ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ জেলায় বেইলি সেতুর বদলে কংক্রিটের নতুন সেতুগুলো তৈরি করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
ঢাকা বিভাগের সাতটি, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ছয়টি, সিলেট বিভাগের ১৭টি, বরিশাল বিভাগের ১৪টি, রাজশাহী বিভাগের সাতটি এবং রংপুর বিভাগের তিনটি সেতু উন্নত করবে লাখ লাখ মানুষের জীবন-যাত্রার মানও।
এসবি/
আরও পড়ুন