ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যার ১৭ বছর
প্রকাশিত : ১২:০০, ১৪ নভেম্বর ২০২২
ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যার ১৭ বছর আজ। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন। দিনটি বিচারক হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকরা। সকাল ৯টায় আদালত চত্তর থেকে একটি শোকযাত্রা বের হয়ে শহর ঘুরে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়।
নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম। পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
পরে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন বরিশাল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ অরুনাবাপ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা জজ ইফতেখার সোহেল, ঝালকাঠির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার, সরকারি সরকারি কৌসুলি আব্দুল মান্নান রসুল, জিপি মীর রফিকুল ইলাম আজম।
এ সময় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃতু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের।
এ সময়ে আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এরা হলেন জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখা প্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন।
এএইচ
আরও পড়ুন