বন্ধুত্ব গড়ে নকল স্বর্ণের মূর্তি বিক্রি, ৭ প্রতারক গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১১:০২, ২১ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:২৪, ২১ নভেম্বর ২০২২

নাটোরের সিংড়া থেকে নকল স্বর্ণের মূর্তি বিক্রি করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার রাতে সিংড়া উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম রোববার এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করলে র্যব-৫’র একটি দল ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোঃ মন্টু (৪০), মোঃ মুকুল (৪৪), মোঃ শফিকুল (৩০), মোহাম্মদ আলী (৪০), মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫৫) মোঃ রজিম আহম্মেদ (২২) ও মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৮)। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর লাঙ্গলমোড়া এলাকায়। অন্যদের সকলের বাড়ি সিংড়ার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকায়।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন ও উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের সঙ্গে গত মার্চ মাসে রাজশাহীর বাঘা এলাকার শাহদোলা মাজার জিয়ারতের সময় পরিচয় হয় প্রতারক চক্রের একজনের সঙ্গে। পরে তার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। দাওয়াত দিয়ে বাড়িতেও নিয়ে যায় সে।
বন্ধুত্বের সম্পর্কে প্রতারক চক্রের ওই সদস্য তার এক আত্মীয়ের পুকুর কাটার সময় একটি স্বর্ণের মূর্তি পাওয়ার কথা বলে এবং মূর্তির একটি হাতের অংশ স্বর্ণকারের দোকানে নিয়ে পরীক্ষা করালে তা স্বর্ণ বলে জানায় ওই স্বর্ণ দোকানী। এতে বিশ্বাস জন্মালে তরিকুল সেটি ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন।
পরে সেটি স্বর্ণের দোকানে পরীক্ষা করাতে গেলে স্বর্ণকার জানায় পুতুলটি নকল।
এবিষয়ে তরিকুল ২০ নভেম্বর অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সিংড়া উপজেলার পিপলসন দড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য।
র্যাবের কর্মকর্তারা আরও জানান, পলাতক ও ধৃত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সোনালী রংয়ের পুতুলকে স্বর্ণের পুতুল বলে বিশ্বাস করিয়ে তা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন