ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সয়াবিনের উচ্চমূল্যে সরিষার তেলে আগ্রহ বাড়ছে (ভিডিও)

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৩১, ২১ নভেম্বর ২০২২

সরিষা তেলের জন্য নোয়াখালী চৌমুহনি ছিল বেশ প্রসিদ্ধ। কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে এখানকার বেশিরভাগ তেলকল। তবে সয়াবিনের উচ্চমূল্য ও মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ায় আবারও সরিষার তেলে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকেই। এতে বন্ধ মিলগুলো চালুর আশা দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

আশির দশকেও রান্নায় সরিষার তেলই ব্যবহার হতো। পরে ভিনদেশি সয়াবিন দখলে নেয় রান্নাঘর। হুমকিতে পড়ে সরিষা তেলের মিলগুলো। হারিয়ে যায় ঘানিও। নোয়াখালীর চৌমুহনী ছিল সরিষার তেলের জন্য প্রসিদ্ধ।

এখনও ৫ থেকে ৬টি তেলের মিল কোনরকমে টিকে আছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজারদখল, মিল মালিকদের আর্থিক সংকট, সরিষার বীজের উচ্চমূল্যের কারণে বেশিরভাগ তেলকল বন্ধ হয়ে যায়। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সরিষা তেলের মিলগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের ২০ কোটি লোক যদি সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকে তাহলে হাজার হাজার মিল গড়ে উঠবে কিন্তু কাঁচামালের যোগান পাওয়া যাবে না। সব জেলায় যাতে সরিষার আবাদ বাড়ানো যায় কৃষি বিভাগের সেই চেষ্টা করা উচিত।

শুধু তেল নয়। খৈল উৎপাদন ও বিক্রির মাধ্যমেও এক সময় মিল-মালিকরা ভালো মুনাফা করতেন। মিলগুলোতে কাজ করতেন বহু শ্রমিক। 
 
এদিকে, সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য-সচেতনতা বাড়ায় আবারও সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে।

ক্রেতারা বলেন, “গুণগত মান শতগুনে ভালো এই কারণে আমরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে এখান থেকে তেল নিয়ে যাই। ভালো মনে করে পরিবারে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়।”

স্বাধীনতার আগে চৌমুহনীতে প্রায় ৩২টি সরিয়া তেলের মিল গড়ে ওঠে। এখানে উৎপাদিত তেল বৃহত্তর নোয়াখালীসহ সারাদেশেই সরবরাহ হতো। চৌমুহনীর তেলকলগুলোর সোনালী দিন ফেরানোর আশ্বাস দিচ্ছে প্রশাসন। 

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, “যে ঘানিগুলো ছিল সেগুলোকে আবার পুনঃজীবিত করার জন্য সরকারের কর্মসূচি আছে। তফসিলী ব্যাংক থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা আছে।”

তেলের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দেশে সরিষার উৎপাদন বাড়লে আবারও সচল হবে চৌমুহনীর তেলকলগুলো। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সহজ ও কমসুদে ঋণসহায়তা দরকার বলে জানিয়েছেন মিল মালিকরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি