গাজীপুর আইনজীবী সমিতিতে বোমা হামলা, ১৭ বছরে শেষ হয়নি বিচার
প্রকাশিত : ১০:৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১০:৩৪, ২৯ নভেম্বর ২০২২
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুরে আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর হলরুমে জেএমবি’র আত্মঘাতী বোমা হামলার ১৭ বছর পরও শেষ হয়নি বিচারকাজ। ওই বোমা হামলায় নিহত হন আইনজীবীসহ ১০ জন। আহত হন বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকাল, আইনজীবীদের ছদ্মবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জেএমবি। মারা যান আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজমসহ ৫ বিচারপ্রার্থী এবং ঘাতক এক জেএমবি সদস্য। আহত হন অন্তত ৩০ জন।
এই ঘটনার একদিন পর ১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রবেশের প্রধান গেটের ভেতরে আবারও বোমা হামলা চালায় জেএমবি। আহত হন অনেকে।
পঙ্গুত্ব ও শরীরে স্প্রিন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আহত আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী আহত আইনজীবীরা বলেন, “মেরুদণ্ডের হাড় আঘাতপ্রাপ্ত এবং পায়ে স্প্রিন্টার নিয়ে এখনও দিন যাপন করছি। আহত আইনজীবীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন।”
আহত আরেক আইনজীবী বলেন, “স্প্রিন্টার ঢুকে বাম চক্ষুটা তখনই গলে পড়ে যায়। দীর্ঘ ১৮ বছর একটা চোখ নিয়ে জীবন যাপন করছি।”
২০১৩’র ২০ জুন এই মামলার রয়ে ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত-৪। ৩ বছর আগে ঢাকার আদালত থেকে স্থানান্তরিত হয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চলমান আছে বোমা হামলা, নাশকতা ও বিস্ফোরণের ছয় মামলা।
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “যে মামলাগুলো হয়েছিল তা বর্তমানে গাজীপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে ৫টি এবং অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত-২ একটি মামলা চলমান রয়েছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা কামনা করছি।”
মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পতি চান সেদিনের ঘটনায় নিহতের স্বজন ও আহত আইনজীবীরা।
এএইচ
আরও পড়ুন