ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষিকার সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া, সংসার রক্ষায় গৃহবধূর আবেদন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৩৬, ২ ডিসেম্বর ২০২২

সাহাদাত হোসেন নোবেল ও শিক্ষিকা রিফাতা মোতালিব মুনা

সাহাদাত হোসেন নোবেল ও শিক্ষিকা রিফাতা মোতালিব মুনা

ঝালকাঠি সদরে পরকীয়া সম্পর্কে এক নারীর সংসার ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে নবগ্রাম মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রিফাতা মোতালিব মুনার অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্বামী সাহাদাত হোসেন নোবেলকে ওই শিক্ষিকার হাত থেকে রক্ষায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভুগী গৃহবধূ সিমা আক্তার।

অন্যদিকে, শিশু পুত্র সিজদা ইবনে সাহাদাতসহ গৃহবধূর ভরণ-পোষণ না দেয়া ও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে স্বামী নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। মামলা নং ৩১৪/২০২০ (ঝাল)।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভূক্তভুগী গৃহবধূ সিমা আক্তারের স্বামী দোগলচিরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিএম ইউনুস আলীর পুত্র সাহাদাত হোসেন নোবেলকে ফুসলিয়ে প্রায় এক বছর ধরে নবগ্রাম মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রিফাতা মোতালিব মুনা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যার কারণে তার বৈবাহিক জীবনে চরম অশান্তি সৃষ্টি হলে শিশুপুত্রকে নিয়ে তিনি অসহায়
দিন কাটাচ্ছেন। 

পরকীয়ার ঘটনা জানতে পেরে ওই গৃহবধূ ও তার অভিভাবকরা শিক্ষিকা মুনাকে বহুবার অনুরোধ করলেও সে তাতে কর্ণপাত না করায় নিরুপায় হয়ে অত্র অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে সিমা আক্তারের সঙ্গে দুবাই প্রবাসী সাহাদাত হোসেন নোবেলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তান জন্ম হয়। হঠাৎ করোনা মহামারির সময়ে স্বামী নোবেল ফোন করে স্ত্রীকে কর্মহীন ও দেনাগ্রস্ত হয়ে পরার বিষয় জানিয়ে দেশে চলে আসার কথা বলেন।
  
এরপর দেশে ফিরে স্ত্রীকে শ্বশুরের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। কিন্তু শ্বশুর টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে সে স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুর বাড়িতে ফেলে রাখেন। এরপর যোগাযোগ করলে সে তাকে তালাক দিয়ে আরও বেশি টাকা নিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দিলে সিমা আক্তার ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগের বিষয় নবগ্রাম মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রিফাতা মোতালিব জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও সম্মানহানীকর। অভিযোগকারী নোবেলের তালাক দেয়া স্ত্রী। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

মামলার বিষয়ে সাহাদাত হোসেন নোবেলের পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিএম ইউনুস আলী জানান, নোবেল বিদেশ থেকে আসার একদিন পরেই স্ত্রী সিমা আক্তার তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দেয়। গত দু’বছরে বহুচেষ্টা করে তাকে থামানো যায়নি। এরপর আমার ছেলে তাকে তালাক দিয়েছে। 

এখন আদালত যে সিদ্ধান্ত দেয় তাই মেনে নিতে হবে বলে জানান তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি