ছাড়পত্র পাচ্ছে না মিথ্যা ঘোষণায় আনা ২৭শ’ টন ‘ডাস্ট’
প্রকাশিত : ১২:৫৯, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
ছাড়পত্র পাচ্ছেনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ২৭শ’ টন পাথরের ধূলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে ডাস্টগুলো পড়ে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরে।
এ ঘটনায় কাস্টমসের গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি এগুলোকে ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন এতে করে প্রতিদিন তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ি করছেন।
গত ১৩ নভেম্বর আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ন পাথর আমদানি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭শ’ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
এই প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করে আসছে।
আমদানিকৃত চূর্ন পাথরের প্রতিটন আমদানি করা হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি।
প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ রয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে এগুলো ডাস্ট হিসেবে রিপোর্ট দেয় তদন্ত কমিটি।
তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ন পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও একই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে, এ ধরনের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।”
এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।”
এএইচ
আরও পড়ুন