ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাড়ছে শিশুদের শীতজনিত রোগ, ঠাঁই হচ্ছে না হাসপাতালে (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১২:১৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে বাড়ছে শিশুদের শীতজনিত রোগ। হাসপাতালগুলোতে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি। অনেকের ঠাঁই হচ্ছে খোলা বারান্দা আর মেঝেতে। বাড়তি চাপে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষও।  

সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ মাসের রাফসান ও রাইমনি। 

এই শিশুদের মা রুনা বেগম বলেন, “দু’জনেরই একসঙ্গে ঠাণ্ডা-সর্দি-কাশি হয়েছে। এর দু’দিন পর শুরু হয় পাতলা পায়খানা।”
  
তাদের মতো আরও অনেক শিশু ভর্তি হাসপাতালটিতে। শয্যার চেয়ে রোগী বেশি তাই মেঝেতে ও খোলা বারান্দায়ও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে।

এক অভিভাবকরা বলেন, বাচ্চার ঠাণ্ডা লেগে নিয়মোনিয়া হয়েছে। এর জন্য হাসপাতালে আছি।

সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের। 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দীন ফরাজি বলেন, “ঔষধপত্র যেগুলো লাগে নিয়মোনিয়া বা ডায়ারিয়ার চিকিৎসার সেগুলো যথেষ্ট পরিমাণে আমাদের মজুদ আছে।”

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালেও শিশুরোগীদের নিয়ে ছুটছেন অভিভাবকরা। জনবল সংকটে বাড়তি চাপে কর্তৃপক্ষ। 

তবে শত সংকটেও চিকিৎসার কোনো কমতি হবে না বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “শিশু রোগীর সংখ্যাটা একটু বেশি। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে তারপরেও নার্স-চিকিৎসকসহ সবাই মিলে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে পরিস্থিতির ট্যাকল দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

উত্তরের জেলা নীলফামারীতেও একই অবস্থা। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীর তুলনায় শয্যায় কম। সেবা দেয়া-নেয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবক-কর্তৃপক্ষ।

আধুনিক সদর হাসপাতালের আরএমও মো. গোলাম রসুল রাখি বলেন, “আমাদের যে জনবল আছে তা দিয়েই তাদের যথাযথ চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই।”

শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি