নওগাঁয় ৫ ভূয়া চিকিৎসক গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৫:৫২, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না রেখেই রোগীদের ওষুধ লিখে দিচ্ছেন, কেউ রোগীর শরীরের ভাঙ্গা হাড়ের সার্জিক্যাল প্লাস্টার করছেন, কেউ কেউ আবার নিজেকে মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন। অথচ তাদের কোন এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি অর্জনের কোন অনুমোদিত সার্টিফিকেট নেই।
তারা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীর কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা সোমবার রাতে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকা থেকে কথিত ৫ ভূয়া ডাক্তারকে আটক করে।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পত্নীতলা থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে র্যাব। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
কথিত ডাক্তাররা হলেন পত্নীতলা উপজেলার পুইয়া গ্রামের রাজকুমার চৌধুরীর ছেলে চপল চৌধুরী (২৬), একই উপজেলার চকশিবরাম গ্রামের ভক্তভূষণ সরকারের ছেলে গোলাপ কুমার সরকার (৩২), আমবাটি গ্রামের হাফিজুর রহমানে ছেলে আবুল কাশেম মিঠু (৩৯), বালঘা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩২) ও নজিপুর পুরাতন বাজার এলাকার শাহিনুর রহমানের ছেলে সারোয়ার হোসেন(২৯)।
জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান জানান, আটককৃতরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাত ৮টার দিকে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান ও ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানার নেতৃতে নজিপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কথিত ওই ৫ চিকিৎসককে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে জাল ১৫০টি সিল, ৬টি প্রেসক্রিপসন প্যাড, ৫টি সার্জিকেল টুলবক্স, ৬টি রক্তচাপ মেশিন, ৪টি সার্জিকেল কাচি, ৬টি স্টেথোস্কোপ, ৩২টি ফোর্সেপ, ২টি ডিজিটাল থার্মোমিটার, ১০০টি অপথালমিক গ্লাস সেট, ১টি অপথালমিক চেকিং মিটার, ১টি টোনোমিটার, ১টি চোখের দৃষ্টি মাপা যন্ত্র ও নগদ টাকাসহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমবিবিএস ও বিডিএস সনদপত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন বলে তারা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।
এএইচ
আরও পড়ুন