সুন্দরবনে দস্যুতায় লিপ্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা
প্রকাশিত : ১৯:১৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেছেন, ২০১৮ সালের পর থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ছিল। হঠাৎ করে একটি নব্য বনদস্যু বাহিনী সুন্দরবনে জেলেদের উপর হামলা ও মুক্তিপন দাবী করেছে। পুলিশ বুদ্ধিমত্তার সাথে বিষয়টি মোকাবেলা করেছে। অভিযান চালিয়ে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও ৩ দস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ সুন্দরবনে দস্যুতা করার দুঃসাহস দেখালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সরকারি রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুল মাঠে আত্মসমর্পনকৃত বনদস্যু, জেলে ও মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, অনেক জেলে রয়েছেন, যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রয়েছে। যদি কোন জেলে দস্যুতা কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সুন্দরবনে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য টহলে অতিরিক্ত দ্রুতগামী একটি জলযান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৎস্য ব্যবসায়ি এম সাইফুল ইসলাম খোকন, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসন খান মহিউদ্দিন, ধানমাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সুন্দরবনের বনজীবিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু, সুন্দরবনের জেলে, মৎস্যজীবী, মাছ ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকেরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু, জেলে ও বনজীবীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এসি
আরও পড়ুন