পাথরের জাদুঘরের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
পঞ্চগড়ের পাথরের জাদুঘরের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের। জাদুঘরটির দুই ভাগে বিভক্ত, উন্মুক্ত ও অভ্যন্তরীণ। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় আগে স্থাপিত এই জাদুঘরে প্রতিদিন আসছেন অসংখ্য পর্যটক। দেখছেন, জানছেন পাথরের ইতিহাস। এর উন্নয়নে সরকারি পৃষ্টপোষকতা চান কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পাথরের জাদুঘর! শুনতে অবাক লাগলেও এই পাথরের জাদুঘর রয়েছে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে। কলেজটির দক্ষিণ পাশে দোতলা ভবনের নিচ তলায় গড়ে তোলা হয়েছে পাথরের জাদুঘর বা রকস্ মিউজিয়াম।
এই জাদুঘরটিকে উন্মুক্ত ও অভ্যন্তরীণ দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে রয়েছে বিশাল আকৃতির বেলে পাথর, গ্রানাইড পাথর, গাছ থেকে রুপান্তিত হওয়া পাথর।
জাদুঘর ভবনে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট ৬ ইঞ্চির নদী থেকে পাওয়া পুরো গাছ দিয়ে তৈরি দুটি বিশালাকার ঝুলন্ত ডিঙ্গি নৌকা। যাদের বয়স প্রায় ৩০০ বছর।
আরও রয়েছে আগ্নেয়শিলা, পাললিক শিলা ও নুড়ি পাথর, সিলিকা নুড়ি ও সিলিকা বালি, হলুদ ও গাঢ় হলুদ বালি, ঐতিহ্যময় কাঠের সিন্দুক, পলি ও কুমোর মাটি এবং কঠিন শিলাসহ ভিন্ন আকৃতির পাথরের সমারোহ। এগুলোর অনেকগুলোতে আবার বিভিন্ন ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন আঁকা। যা আগত পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
কলেজের শিক্ষার্থী ও পর্যটকরা জানান, পুরনো যুগের পাথর যেগুলো দেখতে ভালো লাগে এবং এগুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি। বাংলাদেশের প্রথম রকস মিউজিয়াম দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
১৯৯৭ সালে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ নাজমুল হক ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গড়ে তোলেন স্বতন্ত্র এই জাদুঘরটি। কলেজের ফান্ড থেকে মিউজিয়ামটি পরিচালিত হয়ে আসলেও এটির উন্নয়নে সরকারি পৃষ্টপোষকতা চান কর্তৃপক্ষ।
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মইনুর রহমান বলেন, “এইসব প্রত্নতাত্ত্বিকগুলো যদি আমরা দেখি তাহলে তৎকালীন সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি।”
এই জাদুঘরের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের জ্ঞান বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ।
এএইচ
আরও পড়ুন