দুপুরেও সূর্যের দেখা মেলেনি চুয়াডাঙ্গায়
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৩
চুয়াডাঙ্গায় সকাল থেকে ঘনকুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা জেলা। বেলা বেড়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মেলেনি।
মঙ্গলবার ঘনকুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটারে নেমে এসেছে। এমতবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে শীতজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।
চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ জেলায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। জেলার শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার।
এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
গত ১০ দিন ধরে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছেনা। দিনে শীত কম হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাঁড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে।
এর ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ছে এবং শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডাজ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩৫০ জন রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। তাছাড়া হাসপাতালে বহিঃবিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আসাদুর রহমান মালিক বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী বেশি।
এই সময়ে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের শরীরে গরম কাপড় পরিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন বলে সবাইকে সচেতন হতে পরামর্শ দেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডার থেকে পাওয়া ২০ হাজার ১০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আরও ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির ওগুলো পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন