ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘ঠাণ্ডার কারণে দুদিন কাজে যাইনি, ঘরে খাবার নেই’

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:২৯, ৫ জানুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম।এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। রেহাই পাচ্ছে না পশুপাখিরাও। 

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা।

গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্নআয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েকদিন এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

কনকনে ঠাণ্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ।

জেলা সদরের চরসিতাইঝাড় এলাকার মো. হযরত আলী বলেন, “ঠ্যালা গাড়িতে বাঁশ নিয়ে হাটে যাচ্ছি। কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডা ও শিরশির বাতাসের কারণে ঠ্যালা গাড়ি ঠেলে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।”

সদরের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা নন্দলাল রবিদাস বলেন, “ঠাণ্ডার কারণে দুদিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই আজ নিরুপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি