পৌষের শেষ দিনে হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২০, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
কমছে না শীতের দাপট। এখনও ২৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ভোগান্তিতে শ্রমজীবী মানুষ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বেশ কিছু স্থানে হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ সপ্তাহে সারাদেশে আবারও শীত জেকে বসতে পারে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পৌষের শেষ দিনে হাড়কাঁপানো শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা না মেলায় দিনেও শীত অনুভূত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছুই দেখা যাচ্ছে না, এতোই ভয়ঙ্কর। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, ভোলা ছাড়াও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ২৬ জেলার উপর দিয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ।
গ্রামবাসীরা জানান, খুবই ঠাণ্ডা, হাত-পা একেবারে জমে আসছে। বাতাস বইছে, যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই বৃদ্ধ ও শিশু।
এক শিশুর অভিভাবক বলেন, “তিন ধরে সর্দি-কাশি-জ্বর। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।”
হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কনকনে শীতের কষ্টে এসব অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষ। বোরো মৌসুমে কৃষিজীবীরাও পড়েছেন বিপাকে। নষ্ট হচ্ছে বোরোর বিজতলাসহ অন্য ফসল।
একজন বলেন, “সবজি ক্ষেতে আসলেও কোনো কাজ করতে পারি না। এতো কুয়াশা পড়ে, রোদও উঠে না।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় কুয়াশা বাড়ার সঙ্গে হতে পারে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর বৃষ্টির পর আবারও বাড়বে শীত।
এএইচ
আরও পড়ুন