ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্ধ হওয়ার পথে জেলেদের আয়-রোজগার (ভিডিও)

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১১:৫৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

হাড়কাঁপানো শীতে বেশ বিপাকে জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কনকনে ঠাণ্ডা পানিতে মাছ শিকারে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। বন্ধ হওয়ার পথে নিত্যকার আয়-রোজগার। 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের সাধন হালদার। যমুনায় মাছ শিকার করে দিন গুজরান ৫ সদস্যের পরিবারের। দু’সপ্তাহ ধরে চরম শীতে নদীতে নামতে পারছেন না। 

যমুনাপাড়ের জেলে সাধন হালদার বলেন, “মাছ মারা পেশা মোদের। মাছ মেরে সংসার চালাই। কিন্তু নদীতে যাবার পারি না, মাছ নাই, ঠাণ্ডা।”

সাধনের স্ত্রী জ্যোৎস্না রানী বলেন, “মোরা পাঁচজন মানুষ, পরিস্থিতি খুব খারাপ।”

কনকনে বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম সাধনের মতো বহু জেলের। সিরাজগঞ্জের প্রধান নদী যমুনাসহ এর শাখা করতোয়া, হুরাসাগর, বড়াল ও চলনবিলে মাছ শিকারের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবার। 

এবারের শীত যেনো মহাদুর্যোগের মতো অসহায় করেছে তাদের।

এক জেলে বলেন, “কেউ এই শীতের মধ্যে মাছ মারতে বের হচ্ছেন না। আমরা বের হয়েছে পেটের দায়ে। পরিবার নিয়ে কয়দিন না খেয়ে থাকা যায়।”

জেলে পরিবারের লোকজন জানান, মাছ নাই, কিস্তি দিতে পারি না। খাওয়া-দাওয়ায় আমাদের খুবই কষ্ট। একবেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। 

নদীতে মাছ ধরতে না পেরে বেকার জেলেদের অনেকেই এখন ঋণগ্রস্ত। 

সিরাজগঞ্জ জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধীরেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “বিশেষ করে যারা যমুনা নদীতে মাছ আহরণ করে তাদের বেশির ভাগ কষ্টের মধ্যে আছে। একটা কম্বল যে কিনবে তার আয়-রোজগার নাই, মাছ মারার সুযোগ নাই।”

জেলে পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জেলা মৎস্যজীবী সমিতির।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি