মেহেরপুরে উদ্বোধন হলো দুটি মডেল মসজিদ

প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর জেলায় নির্মাণ করা হয়েছে দুটি দৃষ্টি নন্দন মডেল মসজিদ। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি গবেষণা, ইসলামি সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার সুযোগ রয়েছে। 

সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে মেহেরপুর জেলার দুটিসহ সারাদেশের ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মডেল মসজিদের একটি মেহেরপুর জেলা শহরে, অন্যটি গাংনী উপজেলা শহরে।

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। নির্মাণ হবে ৫৬০টি মসজিদ। ৪০ শতাংশ জমির উপর জেলায় ৪ তলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। 

জেলা পর্যায়ে ১৫ ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটা মসজিদে কমবেশি ১ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদগুলোতে দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। 

মডেল মসজিদগুলো শুধু নামাজ পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখানে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন ও গবেষণার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। মডেল মসজিদগুলো চালু হলে মুসল্লির সংখ্যা বাড়ার পাশপাশি প্রকৃত ধর্মীয় চার্চার কেন্দ্র গড়ে উঠবে। 

এদিকে মডেল সমজিদ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, মডেল মসজিদ নির্মাণ করায় তারা খুশি। সামাজিক অবক্ষয় ও অন্যায়-কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে মসজিদগুলো সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারবে। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি বিশুদ্ধভাবে কোরআন শিখতে পারবে মানুষ। 

মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ইলিয়াস হোসেন বলেন, মানুষ যখন ইসলামের সঠিক জ্ঞান পাবে যৌতুক-নারীর প্রতি সহিংসতা অনেকটাই কমে আসবে এবং মানুষ অন্যায় থেকে দূরে থাকবে। এক্ষেত্রে মডেল মসজিদগুলোর সঠিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
 
 মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ